Last Updated on by Rosmoy
পুরুষের বীর্য খাওয়া যাবে কি না এই বিষয়ে আমি পরে আসতেছি, তার আগে আপনাকে নিজে নিজে জিজ্ঞেস করতে হবে আপনি কেনো পুরুষের বীর্য খেতে চান, যদি আপনার মন থেকে পুরুষের বীর্য খেতে ইচ্ছে হয় তাহলে বলো এটি খেতে পারবেন, এতে কোন স্বস্থ্য ঝুকি নেই। তবে কোন উপকার পেতে যদি এই বীর্য খেতে চান তাহলে আগে ভাবুন এবং এই লেখাটি পুরোটা মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
মুখ দিয়ে সহবাস করার সময় সাধারণত পুরুষের বীর্য সহপাঠিনীর মুখে যায়, এতে ভুলবশত এটি গিলে ফেললে কোন ক্ষতি নেই। আমরা সঙ্গীকে তৃপ্তি দিতে অনেক সময় অরাল সেক্স করে থাকি, এটি আমাদের সহবাসকে করে তুলে অনেক মধুর ও উপভোগের। তবে বীর্য গিলে ফেলা বা ইচ্ছে করে খাওয়াতে বিশেষ কোন উপকার নেই, এই বিষয় নিয়েই আজকের লেখাটা।
এই লেখাতে আজকে আমারা জানবো বীর্য খাওয়ার উপকারিতা, ক্ষতিকর দিক, ও ঝুকি সম্পর্কে। তাহলে দেরী না করে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত।
সহবাস নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে প্রশ্ন করুন এখানেঃ ফেসবুক পেইজ, পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন!
পুরুষের বীর্য কি খাওয়া যায়?
প্রথমেই জেনে নেই পুরুষের বীর্য খাওয়া যাবে কি না। এর একদম সোজা উত্তর হল হ্যা খাওয়া যাবে।
এতে ধর্মীয় অনেক বাধা নিষেধ আছে, তাই আপনি যদি ধর্মীয় নিয়ম কানুন মেনে চলেন তাহলে এটি খাওয়া যাবে না, এটি সব ধর্মেই নিষেধ দেওয়া আছে, স্বামী কিংবা স্ত্রীর বীর্য খাওয়া ত দূরের কথা গোপানাঙ্গে মুখ লাগাতে ও নিষেধ করা হয়েছে।
তাই আপনি যদি আপনার পার্টানারের বীর্য খেতে চান তা নিজ দায়িত্বে খেতে হবে, এতে শরীরের কোন ক্ষতি হবে না। কারণ বীর্যের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া ফলমূলে যেসব উপাধান থাকে, সেসব উপাধান যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ল্যাকটিক অ্যাসিড, চিনি, গ্লোকোজ ইত্যাদি থাকে।
বীর্য খাওয়ার উপকারিতা
আগেই বলেছি বীর্য খাওয়া মোটামুটি নিরাপদ এবং এটি খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। বীর্যর মধ্যে ক্যালোরি, বা ফ্যাট থাকে, এক চা চামুচ বীর্যে ৫-৭ ক্যালোরি থাকে।
২০০২ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে বীর্য খেলে আপনার মন মরা মেজাজ উন্নত হতে পারে, কারণ এতে প্রাকৃতিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন:
- এন্ডোরফিন – Endorphins
- এস্ট্রোন – Estrone
- প্রোল্যাকটিন – Prolactin
- অক্সিটোসিন – Oxytocin
- সেরোটোনিন – Serotonin
এছাড়াও যেসব উপকারিতা রয়েছে তা হলঃ
- দুশ্চিন্তা কমাতে পারে, বা ডিপ্রেশন কমাতে পারে
- আয়ু বাড়াতে পারে
- দাত সাদা করতে পারে
- চুলের গুড়া শক্ত করতে পারে
- শরীরের স্কীন স্মুত কোমল বা নমনীয় করতে পারে।
এই উপকারগুলি পেতে আপনাকে অনেক বীর্য খেতে হবে, অথচ প্রাকৃতিকভাবে ফলমূলে এরচেয়ে অনেক বেশি ক্যালোরি থাকে। তো যাইহোক বীর্য খাওয়ার যেমন উপকারিতা জানলেন তেমনভাবে বীর্য খাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনার সহপাঠীর শরীরে মধ্যে কোন ধরনের Sexually Transmitted Diseases বা যৌনবাহিত রোগ যেনো না থাকে। যদি যৌনবাহিত রোগ থেকে থাকে তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
বীর্য খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বীর্য খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমে বলা উচিত যে, এটি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য এবং স্বচ্ছতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করতে পারে। বীর্য খাওয়া কিছু মানুষের জন্য কোনো বিশেষ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি নাও করতে পারে, তবে কিছু সম্ভাব্য সমস্যা রয়েছে যা বিবেচনা করা উচিত।
প্রথমত, বীর্য সাধারণভাবে স্বাস্থ্যকর হলেও এতে কিছু সংবেদনশীল উপাদান থাকে যা কিছু মানুষের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি হজমে সমস্যা অনুভব করেন বা তার শরীরের কোনো অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া থাকে, তবে এটি তার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, যদি বীর্যের উপর সঠিক স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলা হয়, তবে এটি ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। স্বামী বা স্ত্রীর সুস্থতা এবং পরিষ্কারতার প্রতি মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া, কিছু ব্যক্তির জন্য মানসিকভাবে এই প্রক্রিয়া অসন্তোষজনক হতে পারে, যা তাদের সম্পর্কের মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সর্বোপরি, যে কোনও ধরনের যৌন বা শারীরিক অভ্যাস সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন এবং স্বাস্থ্যকর পদ্ধতির প্রতি মনোযোগ রাখা উচিত।
সহবাস নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে প্রশ্ন করুন এখানেঃ ফেসবুক পেইজ, পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন!
স্বামীর বীর্য কি স্ত্রী খেতে পারবে?
হ্যাঁ, একজন স্ত্রী তার স্বামীর বীর্য খেতে পারেন, কারণ এটি সাধারণত ক্ষতিকর নয় এবং এতে প্রোটিন, শর্করা, এবং খনিজ থাকে। তবে, এটি সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভর করে, এবং উভয়ের মধ্যে সম্মতি থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, কোনো যৌন সংক্রমণ (STI) আছে কিনা তা নিশ্চিত করা দরকার। এটি নিয়ে স্বামী স্ত্রী খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন।
স্বামীর বীর্য খাওয়া কি হারাম?
ইসলামে স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্কের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলী রয়েছে যা কোরআন এবং হাদীস থেকে উদ্ভূত। স্বামীর বীর্য খাওয়া কি হারাম, তা নিয়ে ইসলামী আইন সম্পর্কে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামে যৌন সম্পর্ক কেবল বিবাহিত জীবনে বৈধ এবং এটি সম্মান ও সৌজন্যের সীমানার মধ্যে থাকতে হবে। যৌন সম্পর্কের মূল উদ্দেশ্য হলো দাম্পত্য সম্পর্কের অধিকার ও কর্তব্য পূরণ করা এবং স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের পবিত্রতা রক্ষা করা।
বীর্য খাওয়া সম্পর্কে কোরআনে সরাসরি কিছু উল্লেখ নেই, কিন্তু ইসলামি পণ্ডিতরা সাধারণ নীতির উপর ভিত্তি করে রায় প্রদান করেন। ইসলামি আইন অনুসারে, বীর্যকে অপবিত্র (নজিস) হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণের আগে শুদ্ধতা রক্ষা করা আবশ্যক।
বীর্য খাওয়া যদি স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিকোণ থেকে কোনও সমস্যা সৃষ্টি না করে এবং এটি সুস্থতা ও সুরক্ষার প্রতি কোন বিপদ না আনয়ন করে, তাহলে এটি হারাম হতে পারে না। তবে, এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ পণ্ডিতদের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত যাতে ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় সম্মানের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনও দ্বিধা বা প্রশ্ন না থাকে।
মোটকথা, ইসলামে যেকোনো ধর্মীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একজন মুসলমানকে পণ্ডিতদের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত এবং নিজস্ব দাম্পত্য জীবনে পরস্পরের সম্মান বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
রিলেটেডঃ স্বামীকে কিভাবে আদর করতে হয়? স্বামীকে বিছানায় খুশি করার উপায়
শেষ কথা
বীর্য খাওয়ার বিষয়ে একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। যদিও এটি স্বাস্থ্যকর হওয়ার দাবি করা হয় না, এবং কিছু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি থাকতে পারে, তবে এটি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। সাধারণভাবে, যৌন স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে পরিষ্কারতা এবং সচেতনতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
ত বন্ধুরা এই ছিলো আজকের লেখাটি, যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে তা শেয়ার করতে ভুলবেন না, আজকের মতো এখানেই শেষ, দেখা হবে আগামী লেখাতে।