পুরুষের বীর্য খাওয়া যাবে? বীর্য খাওয়ার উপকারিতা কি কি?

পুরুষের বীর্য খাওয়া যাবে কি না এই বিষয়ে আমি পরে আসতেছি, তার আগে আপনাকে নিজে নিজে জিজ্ঞেস করতে হবে আপনি কেনো পুরুষের বীর্য খেতে চান, যদি আপনার মন থেকে পুরুষের বীর্য খেতে ইচ্ছে হয় তাহলে বলো এটি খেতে পারবেন, এতে কোন স্বস্থ্য ঝুকি নেই। তবে কোন উপকার পেতে যদি এই বীর্য খেতে চান তাহলে আগে ভাবুন এবং এই লেখাটি পুরোটা মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

মুখ দিয়ে সহবাস করার সময় সাধারণত পুরুষের বীর্য সহপাঠিনীর মুখে যায়, এতে ভুলবশত এটি গিলে ফেললে কোন ক্ষতি নেই। আমরা সঙ্গীকে তৃপ্তি দিতে অনেক সময় অরাল সেক্স করে থাকি, এটি আমাদের সহবাসকে করে তুলে অনেক মধুর ও উপভোগের। তবে বীর্য গিলে ফেলা বা ইচ্ছে করে খাওয়াতে বিশেষ কোন উপকার নেই, এই বিষয় নিয়েই আজকের লেখাটা।

এই লেখাতে আজকে আমারা জানবো বীর্য খাওয়ার উপকারিতা, ক্ষতিকর দিক, ও ঝুকি সম্পর্কে। তাহলে দেরী না করে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত।

পুরুষের বীর্য কি খাওয়া যায়?

প্রথমেই জেনে নেই পুরুষের বীর্য খাওয়া যাবে কি না। এর একদম সোজা উত্তর হল হ্যা খাওয়া যাবে।

এতে ধর্মীয় অনেক বাধা নিষেধ আছে, তাই আপনি যদি ধর্মীয় নিয়ম কানুন মেনে চলেন তাহলে এটি খাওয়া যাবে না, এটি সব ধর্মেই নিষেধ দেওয়া আছে, স্বামী কিংবা স্ত্রীর বীর্য খাওয়া ত দূরের কথা গোপানাঙ্গে মুখ লাগাতে ও নিষেধ করা হয়েছে।

তাই আপনি যদি আপনার পার্টানারের বীর্য খেতে চান তা নিজ দায়িত্বে খেতে হবে, এতে শরীরের কোন ক্ষতি হবে না। কারণ বীর্যের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া ফলমূলে যেসব উপাধান থাকে, সেসব উপাধান যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ল্যাকটিক অ্যাসিড, চিনি, গ্লোকোজ ইত্যাদি থাকে।

বীর্য খাওয়ার উপকারিতা

আগেই বলেছি বীর্য খাওয়া মোটামুটি নিরাপদ এবং এটি খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। বীর্যর মধ্যে ক্যালোরি, বা ফ্যাট থাকে, এক চা চামুচ বীর্যে ৫-৭ ক্যালোরি থাকে।

২০০২ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে বীর্য খেলে আপনার মন মরা মেজাজ উন্নত হতে পারে, কারণ এতে প্রাকৃতিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন:

  • এন্ডোরফিন – Endorphins
  • এস্ট্রোন – Estrone
  • প্রোল্যাকটিন – Prolactin
  • অক্সিটোসিন – Oxytocin
  • সেরোটোনিন – Serotonin
ডিপ্রেশন কমাতে পারে_বীর্য খাওয়ার উপকারিতা
ডিপ্রেশন কমাতে পারে

এছাড়াও যেসব উপকারিতা রয়েছে তা হলঃ

  • দুশ্চিন্তা কমাতে পারে, বা ডিপ্রেশন কমাতে পারে
  • আয়ু বাড়াতে পারে
  • দাত সাদা করতে পারে
  • চুলের গুড়া শক্ত করতে পারে
  • শরীরের স্কীন স্মুত কোমল বা নমনীয় করতে পারে।

এই উপকারগুলি পেতে আপনাকে অনেক বীর্য খেতে হবে, অথচ প্রাকৃতিকভাবে ফলমূলে এরচেয়ে অনেক বেশি ক্যালোরি থাকে। তো যাইহোক বীর্য খাওয়ার যেমন উপকারিতা জানলেন তেমনভাবে বীর্য খাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনার সহপাঠীর শরীরে মধ্যে কোন ধরনের Sexually Transmitted Diseases বা যৌনবাহিত রোগ যেনো না থাকে। যদি যৌনবাহিত রোগ থেকে থাকে তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ত বন্ধুরা এই ছিলো আজকের লেখাটি, যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে তা শেয়ার করতে ভুলবেন না, আজকের মতো এখানেই শেষ, দেখা হবে আগামী লেখাতে।

Leave a Comment