প্রথম মিলনে রক্তক্ষরণ নিরাপদ? প্রথম সহবাসে রক্তক্ষরণ হলে করণীয় কি কি?

প্রথম মিলনে রক্তক্ষরণ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটি অনেক কারণে ঘটতে পারে, যেমন যোনি শুষ্কতা, আঘাত বা পলিপস। রক্তপাত আরও গুরুতর অবস্থার ইঙ্গিত দিতে পারে, যেমন এন্ডোমেট্রিওসিস বা ক্যান্সার। তবে প্রথম মিলনে রক্তক্ষরণ খারাপের চাইতে বেশি ভালো লক্ষণ এবং অধিকাশং মেয়েদের প্রথমবার রক্তক্ষরণ তাকে সঙ্গীর কাছে করে তুলে আরো বিশ্বস্ত ও বিশেষ মানুষ হিসাবে।

এছাড়া অনেকের প্রথম মিলনে রক্তপাত নাও হতে পারে, মূলত প্রথম সহবাসে রক্তক্ষরণের অন্যতম কারণ হলো হাইমেন টিস্যু ফেটে যাওয়া, যার ফলে যৌনিতে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত আসতে পারে, কারো কারো ক্ষেত্রে খুব বেশি রক্তপাত হতে পারে, এবং আরো কিচ্ছু ক্ষেত্রে ভারী রক্তপাত হতে পারে যা ১-১০দিন পর্যন্ত থেমে থেমে চলতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই, এই লেখাতে আমরা জানবো প্রথম সহবাসে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণ, এবং করণীয়! তাহলে দেরী না করে চলুন জেনে নেই প্রথম সহবাসে রক্তক্ষরণ হলে করণীয়গুলি।

কারণ

১। প্রথম সহবাসে রক্তপাতের অন্যতম কারণ হাইমেন বা যোনিচ্ছদ পর্দা ফেটে যাওয়া, এই বিষয়ে আমাদের ব্লগে একটি লেখা আছে “ভার্জিন মেয়ে চেনার কৌশল, সতী বা কুমারী মেয়ে চেনার সহজ উপায় কি?” লেখাটা পড়লে আপনার রক্তকরণের কারণ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

২। যোনি শুষ্কতা সহবাসের পর রক্তপাতের সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে একটি। সহবাসের সময় যখন ত্বক শুষ্ক থাকে তখন এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে, এবং প্রবল ঘর্ষনের ফলে হাইমেন টিস্যু ছিড়ে গিয়ে রক্তপাত শুরু হয়।

৩। যোনিতে যেকোন ধরনের সংক্রমণের ফলে রক্তপাত হতে পারে।

৪। কিছু লোকের প্রজনন অঙ্গগুলি ভিন্ন আকৃতির হয়, সেটা পুরুষের ক্ষেত্রে এবং নারীদের উভয়ের ই হতে পারে। এসব শারীরবৃত্তীয় অস্বাভাবিকতা প্রথম সহবাসে হতে পারে বেদনাদায়ক, এবং অল্প ঘর্ষণে হাইমেন টিস্যু ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৫। মাসিকের কারণে প্রথম সহবাসের রক্তক্ষরণ হতে পারে।

প্রথম সহবাসে রক্তক্ষরণ হলে করণীয়

১। আগেই বলা হয়েছে প্রথম সহবাসে রক্তক্ষরণ খুবই স্বাভাবিক বিষয়, তাই এমন অবস্থায় ভয়ের কোন কারণ নাই। এছাড়া প্রথম সহবাসে যৌনিতে ব্যাথা, জ্বালাপোড়া স্বাভাবিক। যদি প্রথম সহবাসে মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাত হয়, এবং এভাবে টানা তিনদিন চলে তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ার কারণ হাইমেন বা যৌনিপর্দা স্বাভাবিকের বেশি ছিড়ে যাওয়া। এতে চিকিৎসক আপনাকে কিছু ওষুধ দিবে যা খুব সল্প সময়ের মধ্যে সেড়ে যাবে, কিছু ক্ষেত্রে সেলাইয়ের প্রয়োজন হতে পারে।

রক্তক্ষরণ খুব কম পরিমাণের হলে কিছু করার দরকার নাই, এটা স্বাবাভিক এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর এটি আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যাবে এবং আপনি পুনরায় সহবাস করতে পারবেন।

২। যোনি শুষ্ক থাকলে জেল ব্যাবহার করা যেতে পারে, এতে করে যৌনি পিচ্ছিল হবে এবং সহবাসের সময় যৌনিপর্দা অস্বাভাবিকভাবে প্রাসারিত হবে না, এবং ছিড়েও যাবে না।

৩। সহবাসের আগে বেশি বেশি ফোরপ্লে করতে হবে, ফোরপ্লের মধ্যে স্পর্শ, চুম্বন, লেহন, মর্দন, ইত্যাদি করতে হবে। সঠিক ফোরপ্লের মাধ্যমে দুজনেই বেশি উত্তেজিত হবেন এবং যৌনাঙ্গ পিচ্ছিল ও অনেক প্রাসারিত হবে, ফলে দুজন দুজনের মধ্যে অনুপ্রবেশ হবে খুবই সহজ, আনন্দের এবং রক্তক্ষরণও অনেক কম হবে।

শেষ কথা

সহবাসের পরে রক্তপাত শুষ্কতা, সংক্রমণ বা সার্ভিকাল বা জরায়ুর ক্যান্সারের মতো অন্যান্য অবস্থার কারণে হতে পারে।

যদি রক্তপাত মাঝে মাঝে এবং হালকা হয়, তাহলে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে।

কিন্তু যদি ভারী রক্তপাত ঘন ঘন হয়, এবং টানা তিন দিনের বেশি এমন চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

তো এই ছিলো আজকের লেখা প্রথম মিলনে রক্তক্ষরণ নিরাপদ? প্রথম সহবাসে রক্তক্ষরণ হলে করণীয় কি কি?, যদি লেখাটা পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না, আজকের মতো এখানেই বিদায়, দেখা হবে আগামী লেখাতে।

Leave a Comment