মেয়েদের উওেজনা বোঝার উপায়: সে উত্তেজিত হওয়ার ৯টি লক্ষণ

Last Updated on by Rosmoy

নারীরা অনন্য। কিছু মহিলা উত্তেজিত হলে খুব বহির্মুখী হয়ে যায় এবং আপনি কখনই বলতে পারবেন না যে সে উত্তেজিত হয়েছে যদি না আপনি নারী বিশেষজ্ঞ হন। কোন মেয়ে কিংবা মহিলাদের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ্য করার জন্য আপনাকে খুব মনযোগী ও বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

পুরুষদের মতো মেয়েরাও নানান সময়ে উত্তেজিত হয়ে থাকে, মেয়েরা কখন কিভাবে উত্তেজিত হয় সেটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। অনেকে নতুন বিয়ের পর কিংবা প্রেমিকার সাথে ঘুরতে গিয়ে বুঝতে পারেন না সহপাঠিনী উত্তেজিত হয়েছি কি না। 

মহিলারা নিজে থেকে সরাসরি কখনো তাদের সঙ্গীর সাথে যৌন সম্পর্ক শুরু করার কথা বলবে না, তারা সূক্ষ্ম ইঙ্গিত দেওয়ার শিল্পে খুব ভালভাবে পারদর্শী। আজকের লেখাটা এই বিষয় নিয়েই, লেখাটা পড়লে আপনি তাৎক্ষণিক বুঝে যাবেন কোন মেয়ে উত্তেজিত হয়েছে কি না। তো দেরী না করে চলেন জেনে মেয়েদের উওেজনা বোঝার উপায় ও নিঞ্জা ট্রিক্স।

মেয়েদের উওেজনা বোঝার উপায়

সাইন্টিফিকভাবে প্রমাণিত ছেলেদের চাইতে মেয়েদের যৌন আকাঙ্খা বেশি, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে অধিকাংশ সময় খুব সাধারণ যৌন চিন্তার মাধ্যমে উত্তেজিত হয়ে যায়। তবে এটি বুঝা প্রায় মুশকিল। চিন্তার কোন কারণ নেই, নিচের উপায়গুলো কোন মেয়ের মধ্যে পরিলক্ষিত হলে বুঝে নিতে হবে সে মেয়েটি উত্তেজিত অবস্থায় আছে।

ঠোঁট কামরানো

যৌনতা বিষয়ে কোন গভীর আলাপের সময় যদি দেখেন সে নিজের ঠোঁট নিজে কামরাচ্ছে তখন বুঝে নিতে হবে মেয়েটি উত্তেজিত হয়ে গেছে। এমনকি উত্তেজিত অবস্থায় মেয়েদের ঠোঁট শুকিয়ে যায়, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লা হয়, রক্তিম্বর্ণ ধারণ করে।

হাতাহাতি করা

কোন মেয়ে যদি কথা বলার চাইতে তার হাতাহাতির পরিমাণ বেশি করে তাহলে বুঝে নিবেন সে উত্তেজিত। হাতাহাতির বিষয়টা মেয়েরা সবার সাথে করে না, খুব আপন মানুষের সাথে করে, যেমন জামাই, প্রেমিক বা যে পুরুষের সাথে গোপন কথা শেয়ার করা যায়।

কখনো যদি দেখেন সে আপনার কান ঠানছে, মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, ঠোঁটের কোনে শয়তানি হাসি রেখে আপনার শরীরে আঁকাআঁকি করছে তাহলে বুঝতে হবে সে উত্তেজিত এবং যৌনতায়, মিলনে আগ্রহী। 

শরীর মোচড় দেওয়া, ঘা ঘেঁষাঘেঁষি করা

মেয়েরা যখন যৌন উত্তেজনা অনুভব করে, তখন তারা কিছু শারীরিক লক্ষণ প্রদর্শন করে থাকে, যেমন পিঠ বাঁকানো এবং মাথা পিছনে ফেলে দেওয়া, বিছানায় শুয়ে পড়া, শরীর মোচড় দেওয়া ইত্যাদি করে থাকে।

উত্তেজিত অবস্থায় ছেলেদের ঘা ঘেঁষে বসা, শরীর মোচড় দেওয়া, হাতে হাত রেখে আঙ্গুল টানা মেয়েদের উত্তেজিত হওয়ার সাধারণ লক্ষণ। এগুলি ইঙ্গিত হতে পারে যে আপনি যা করছেন তা সে উপভোগ করছে এবং আপনার চালিয়ে যাওয়া উচিত।

শরীর মোচড় দেওয়া_মেয়েদের উত্তেজনা বুঝার উপায়
শরীর মোচড় দেওয়া

চোখ দেখে

উত্তেজিত অবস্থায় মেয়েদের চোখের দিকে তাকালেই তার উত্তেজনা সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে। যদি গভীরভাবে তার চোখে চোখ রাখেন তাহলে তার মনের খব দ্রুতই বুঝে যাবেন। মুখের ভাষা বুঝা না গেলো চোখের ভাষা বুঝা খুব সহজ।

এছাড়া, মানুষ মুখ জোর করে বন্ধ রাখলেও চোখ বন্ধ রাখতে পারে না, চোখ তার ভিতরের খবর প্রাকশ করে দেয়। যখন ভাষার জন্ম হয়নি তখন ভার্বাল কমিউনিকেশন বা চোখ মুখের ইশারা ইংগিত দেখেই মানুষ চলাফেরা করতো।

গভীর শ্বাস নেওয়া

মেয়েদের উত্তেজনা বোঝার আরো একটি সহজ কৌশল হচ্ছে সে ঘনঘন গভীর শ্বাস নিবে, তার শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত থেকে দ্রুততম হবে। কথা বলার মধ্যে যদি দেখেন তার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিকের চাইতে বেশি হচ্ছে, এবং শ্বাস নেওয়াটায় কোন অস্বাভাবিক বা অপরিচিত শব্দ হচ্ছে তাহলে বুঝে নিবেন সে উত্তেজিত হয়ে আছে।

কান, গাল, চোখ লাল হওয়ার 

উত্তেজিত হলে কিছু মেয়েদের চোখ মুখ কিংবা কান লাল হয়ে যায়, দ্রুত শ্বাস নেয়, উত্তেজিত অবস্থায় শরীরে রক্ত চলাচল বেশি হওয়ার কারণে এই লক্ষণগুলি দেখা দেয়।

এইসব লক্ষণ কোন মেয়ের মধ্যে দেখলে বুঝবেন সে উত্তেজিত।

শরীরের লোম শক্ত হলে

উত্তেজনার সময় মেয়েরা পুরুষের স্পর্শে কিংবা স্পর্শ ছাড়াই খুব শিহরিত হয়ে থাকে, ফলে শরীরের লোম শক্ত হয়ে যায়। শরীরে হাত দিলে স্পষ্ট তা লক্ষ করতে পারবেন।

স্তনবৃন্ত শক্ত হওয়া

মেয়েরা উত্তেজিত হলে তার স্তনবৃন্ত দুটি শক্ত হয়ে যায়, পুরুষের পুরুষাঙ্গ যেভাবে উত্তেজিত অবস্থায় নরম থেকে শক্ত হয়, ঠিক তেমনভাবে মেয়েদের স্তনবৃন্ত দুটি শক্ত হয়। এগুলো আকারে অনেক ছোট থাকার কারণে দূর থেকে বুঝা যায় না।

আপনার স্ত্রী কিংবা প্রেমিকার উত্তেজনা বুঝতে স্তনবৃন্তে হাত দিলেই বুঝতে পারবে।

রিলেটেডঃ সহবাসের সময় জ্বালাপোড়া হলে করণীয়: পরামর্শ ও সতর্কতা

যোনিরস আসা

উত্তেজিত অবস্থায় মেয়েদের যোনিতে বা গোপনাঙ্গে যোনিরসে টইটুম্বুর থাকে। আপনার কাছের মানুষ যেমন বউ কিংবা প্রেমিকার উত্তেজনা বুঝতে যোনিতে স্পর্শ করলেই বুঝে যাবেন। উত্তেজিত অবস্থায় মেয়েদের যৌঙ্গাঙ্গ পিচ্ছিল হয়ে যায় ও অবিরত তরল পানি আসতে থাকে। যত বেশি পানি আসবে সে ততো বেশি উত্তেজিত হিসাবে ধরে নিতে হবে।

এমনকি মেয়েরা কোন সুন্দর ছেলে বা রোমান্টিক কল্পনা করলেও যোনিতে প্রাকৃতিকভাবেই পানি আসে।

মেয়েরা মুলত তাদের নিজস্ব গতিতে চলতে চায়, তাদের কোনও কিছুতে চাপ দেবেন না, বিনীতভাবে তাদের দেখানো পথে চলুন। ধৈর্য্য ধরুন দেখবেন সে নিজে থেকেই কিভাবে তাকে প্রলুব্ধ করা যায় তা বলে দিবে। আপনি যদি ভালোভাবে তাদেরকে শোনেন তবে মহিলারা সর্বদা আপনাকে ইঙ্গিত দেবেন।

আপনি যদি তার উত্তেজনাকে সত্যিই উপভোগ করতে চান তবে কেবল অধৈর্য, নিয়ন্ত্রণ, স্নায়বিক, কর্কশ এবং/অথবা চাপযুক্ত হন। তাকে তার নিজের গতিতে উষ্ণ হতে দিন এবং সে আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হবে।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

মেয়েরা কখন বেশি উত্তেজিত থাকে?

কোনও মেয়ে ডিম্বস্ফোটনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজিত বোধ করতে পারে, যা সাধারণত তার মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে। এই সময়ে হরমোনের পরিবর্তনগুলি কামশক্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং শারীরিক আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার ফলে তাদের চেহারায় ও ত্বকে একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা তৈরি হয়।

এছাড়াও মেয়েরা উত্তেজিত ধাঁধা শুনে, কথা শুনে, উত্তেজিত ফটো দেখে, ভিডিও দেখে এমনকি কোন রোমান্টিক জিনিষ কল্পনা করে উত্তেজিত হতে পারে।

কি করলে মেয়েদের উওেজনা বাড়ে?

মেয়েদের যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য কিছু কার্যকর পদ্ধতি রয়েছে যা শারীরিক, মানসিক এবং সম্পর্কগত দিক থেকে সহায়ক হতে পারে। প্রথমত, সম্পর্কের গুণগত মান বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েরা সাধারণত তখনই উত্তেজিত অনুভব করে যখন তাদের পার্টনারের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়। একে অপরের অনুভূতি এবং চাহিদা সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করা, পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা, এবং সম্পর্কের মধ্যে আন্তরিকতা বাড়ানো উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাবার এবং পর্যাপ্ত ঘুম যৌন সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ শরীর মানসিকভাবে ভালো থাকতে সাহায্য করে এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়াতে পারে।

তৃতীয়ত, মানসিক চাপ কমানো গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রেস বা উদ্বেগ মেয়েদের যৌন উত্তেজনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যোগাসন, মেডিটেশন, এবং অন্যান্য রিলাক্সেশন পদ্ধতি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

যৌন শিক্ষা ও খোলামেলা আলোচনা সম্পর্কের গভীরতা বাড়াতে সহায়ক। একে অপরের যৌন চাহিদা এবং ইচ্ছা সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা এবং যৌন শিক্ষা গ্রহণ উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

সবশেষে, সৃজনশীলতা এবং নতুন অভিজ্ঞতা অন্বেষণ করার মাধ্যমে সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা ও আগ্রহ বজায় রাখা যেতে পারে।

কি খেলে মেয়েদের উওেজনা বাড়ে?

মেয়েদের যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য কিছু খাদ্যদ্রব্য ও অভ্যাস উপকারি হতে পারে। প্রথমত, তাজা ফল এবং সবজি, বিশেষ করে আঙুর, ব্লুবেরি এবং তরমুজ, যা শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে এবং উত্সাহ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। কিছু বিশেষ খাবার যেমন বাদাম, অ্যাভোকাডো এবং সেমি-শক্ত খাদ্যসমূহ হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

অন্যদিকে, সুষম খাবার যেমন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত, যা শক্তি বাড়াতে সহায়ক। শাকসবজি, পুষ্টিকর ফল এবং পর্যাপ্ত পানি পান মেয়েদের সাধারণ সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

এর পাশাপাশি, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া এবং সম্পর্কের গুণগত মান বৃদ্ধি করা উত্সাহ বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাবার এবং সুস্থ জীবনযাপন মেয়েদের উত্তেজনা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

রিলেটেডঃ অতিরিক্ত উত্তেজনা কমানোর ১০ কার্যকারী উপায়

শেষ কথা

মেয়েদের বোঝা কঠিন, তাদের ক্রিয়াকলাপগুলি মাঝে মাঝে এত অপরিচিত হতে পারে যে পুরুষরা হামেশাই মনে করে যে তারা একটি গোলকধাঁধা দিয়ে হাঁটছে। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল বেশিরভাগ মেয়েরা বেডরুমে যা চান তা নিয়ে চুপ থাকতে পছন্দ করেন। তাদের গোপন রহস্য উন্মোচন করা একটি কঠিন কাজ, কিন্তু এটি অসম্ভব নয়।

উপরের আলোচিত উপায়গুলি বা লক্ষণগুলি দিয়ে সহজেই কোন মেয়ে কিংবা মহিলার উত্তেজিত অবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারনা পাওয়া যাবে। তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের লেখা মেয়েদের উওেজনা বোঝার উপায় ও কলা কৌশল, যদি লেখাটা ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আজকের মতো এখানেই বিদায়, দেখা হবে আগামী লেখাতে। সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ। 

About The Author

Leave a Comment