বীর্য পুনরুৎপাদন হতে কতদিন সময় লাগে? জেনে নিন বীর্যের জীবন চক্র | ২০২৪

পুরুষের শরীর প্রতিনিয়ত বীর্য উৎপাদন করে থাকে, তবে বীর্য একবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি ভাবে পুনরুৎপাদন হতে ৬৪ থেকে ৭৪ দিন সময় লাগে। যা মোটামুটি দুই মাসের উপর। যারা বীর্যের জীবন চক্র নিয়ে আগ্রহী তাদের জন্যেই এই লেখা।

এই লেখাতে আমরা জানবো বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে, এবং বীর্যের পরিপূর্ণ জীবন চক্র সম্পর্কে। তাহলে দেরী না করে চলুন জেনে নেই বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে?

বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে

গবেষণায় দেখা গেছে বীর্য তৈরি হতে গড়ে ৭৪ দিন সময় লাগে, অপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে ৬৪ দিন সময় লাগে। মূলত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বীর্য পুনরুৎপাদন হতে দুই মাসের উপরে সময় লাগে।

বীর্য উৎপাদন কিংবা পুনরুৎপাদন ব্যক্তিভেদে আলাদা আলাদা হতে পারে। সুস্থ সবল যুবক পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্য উৎপাদন যেমন হবে বয়ষ্ক পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্য উৎপাদন ভিন্ন হয়ে থাকে।

বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে
বীর্য

১ জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের শরীর দিনে মিলিয়নের বেশি স্পার্ম বা বীর্য উৎপাদন করতে পারে। ১ মিলিমিটার বীর্যে ২০-৩০ মিলিয়নের বেশি স্পার্ম সেল থাকে, শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্যি। তার মধ্যে একটা সেল যদি সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে যেতে পারে তখন সেই সেল থেকে মানব সন্তানের জন্ম হতে পারে।

একজন পুরুষের শরীর প্রতিনিয়ত বীর্য তৈরি করে থাকে, বীর্য যখন শরীর তৈরি করে তখন সেটা পরিপক্ক অবস্থায় থাকে না, শরীরে বীর্যের জন্ম থেকে পরিপক্ক অবস্থায় যেতেই ৬৪-৭৪ দিন সময় লাগে।

একটা ম্যাচিউর বীর্য সেল থেকেই সাধারণত মহিলারা গর্ভবতী হয়ে থাকেন। আপনার মনে যদি এইসব প্রশ্ন থেকে থাকে আমি কখন গর্ভবতী হবো, বা আমি কখন আমার বউকে বাচ্চা দিতে পারবো। তার সোজাসাপ্টা উত্তর হবে, আপনার শরীরের সব ম্যাচিউর বা পরিপক্ক বীর্য সেল শেষ হয়ে গেলেও ৭৪ দিনের মাথায় আপনি নতুনভাবে বাচ্চা নিতে পারবেন।

পরিপক্ক বীর্য সেল
পরিপক্ক বীর্য সেল

বন্ধুরা এই ছিলো আজকে আমারাদের আলোচনা বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে এবং এই সম্পর্কিত বিস্তারিত। যদি লেখাটা ভালো লেগে থেকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজকের মতো এখানেই বিদায়, দেখা হবে আগামী লেখাতে।

Reference:

Leave a Comment