বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে? জেনে নিন বীর্যের জীবন চক্র

Last Updated on by Rosmoy

পুরুষের শরীর প্রতিনিয়ত বীর্য উৎপাদন করে থাকে, তবে বীর্য একবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি ভাবে পুনরুৎপাদন হতে ৬৪ থেকে ৭৪ দিন সময় লাগে। যা মোটামুটি দুই মাসের উপর। যারা বীর্যের জীবন চক্র নিয়ে আগ্রহী তাদের জন্যেই এই লেখা।

এই লেখাতে আমরা জানবো বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে, এবং বীর্যের পরিপূর্ণ জীবন চক্র সম্পর্কে। তাহলে দেরী না করে চলুন জেনে নেই বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে?

শুক্রাণু/ বীর্য

শুক্রাণু হল নিষিক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পুরুষ প্রজনন কোষ। এগুলি অণ্ডকোষে উৎপন্ন হয় এবং এর একটি মাথা, মধ্যভাগ এবং লেজ থাকে, যা তাদের মহিলা ডিমের দিকে সাঁতার কাটতে এবং প্রবেশ করতে সহায়তা করে, যা গর্ভধারণকে সক্ষম করে।

বীর্য এর ইংরেজি হলো Sperm, বাংলাতে অনেকে বীর্যকে শুক্র, রেত, ঔরস, ধাত, ধাতু হিসাবেও চিনে।

বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে?

গবেষণায় দেখা গেছে বীর্য তৈরি হতে গড়ে ৭৪ দিন সময় লাগে, অপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে ৬৪ দিন সময় লাগে। মূলত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বীর্য পুনরুৎপাদন হতে দুই মাসের উপরে সময় লাগে।

বীর্য উৎপাদন কিংবা পুনরুৎপাদন ব্যক্তিভেদে আলাদা আলাদা হতে পারে। সুস্থ সবল যুবক পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্য উৎপাদন যেমন হবে বয়ষ্ক পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্য উৎপাদন ভিন্ন হয়ে থাকে।

বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে
বীর্য

১ জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের শরীর দিনে মিলিয়নের বেশি স্পার্ম বা বীর্য উৎপাদন করতে পারে। ১ মিলিমিটার বীর্যে ২০-৩০ মিলিয়নের বেশি স্পার্ম সেল থাকে, শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্যি। তার মধ্যে একটা সেল যদি সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে যেতে পারে তখন সেই সেল থেকে মানব সন্তানের জন্ম হতে পারে।

একজন পুরুষের শরীর প্রতিনিয়ত বীর্য তৈরি করে থাকে, বীর্য যখন শরীর তৈরি করে তখন সেটা পরিপক্ক অবস্থায় থাকে না, শরীরে বীর্যের জন্ম থেকে পরিপক্ক অবস্থায় যেতেই ৬৪-৭৪ দিন সময় লাগে।

একটা ম্যাচিউর বীর্য সেল থেকেই সাধারণত মহিলারা গর্ভবতী হয়ে থাকেন। আপনার মনে যদি এইসব প্রশ্ন থেকে থাকে আমি কখন গর্ভবতী হবো, বা আমি কখন আমার বউকে বাচ্চা দিতে পারবো। তার সোজাসাপ্টা উত্তর হবে, আপনার শরীরের সব ম্যাচিউর বা পরিপক্ক বীর্য সেল শেষ হয়ে গেলেও ৭৪ দিনের মাথায় আপনি নতুনভাবে বাচ্চা নিতে পারবেন।

পরিপক্ক বীর্য সেল
পরিপক্ক বীর্য সেল

পরিশেষ

শুক্রাণু উৎপাদন একটি অবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া যা প্রাথমিক গঠন থেকে পরিপক্কতা পর্যন্ত প্রায় ৬৪ দিন সময় নিয়ে থাকে। শুক্রাণু উৎপাদনে বেশ কয়েকটি পর্যায় জড়িত থাকে, যা অণ্ডকোষে শুক্রাণু উৎপাদনের মাধ্যমে শুরু হয় এবং এপিডিডাইমিসে পরিপক্কতা ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে শেষ হয়।

পুরুষ প্রজনন স্বাস্থ্যে সম্পর্কে বুঝতে এই চক্রটি জানা বেশ দরকারি, কারণ ভালো খাদ্য, সুস্থ জীবনধারা শুক্রাণুর উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।

বন্ধুরা এই ছিলো আজকে আমারাদের আলোচনা শুক্রাণু তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে এবং এই সম্পর্কিত বিস্তারিত। যদি লেখাটা ভালো লেগে থেকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজকের মতো এখানেই বিদায়, দেখা হবে আগামী লেখাতে।

Reference:

About The Author

Leave a Comment