অর্গাজম কি? অর্গাজম কাকে বলে? উপকারিতা ও প্রকারভেদ

Last Updated on by Rosmoy

শারীরিক ঘনিষ্ঠতা ও সহবাস বিবাহিত জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যখন দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা কমে যায়, কদাচিৎ সহবাস হয় তখন দম্পতিদের মধ্যে দুরুত্বের সৃষ্টি হয়, কথাবার্তা কম হয়, ঝগড়াঝাটি কিংবা ভুল বোঝাবুঝি মতো ঘটনা ঘটে, ফলে হতাশা ও প্রচণ্ড মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে।

বিবাহিত জীবনে সুখী থাকার জন্যে সহবাস ও যৌন ঘনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, যৌন আনন্দের সুবিধাগুলি এখানেই শেষ হয় না। নিয়মিত অর্গাজম বা প্রচণ্ড উত্তেজনা মানসিক এবং শারীরিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

তো আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা এই গুরুত্বপূর্ণ অর্গাজম কি, এই লেখাতে আমারা জানবো অর্গাজমের বিস্তারিত, এটি কি, কিভাবে হয়, কেন হওয়া দরকারি। তাহলে দেরী না করে চলুন জেনে নেই এই বিষষে খুঁটিনাটি।

অর্গাজম কি

অর্গাজমের সহজ বাংলা হলো রাগমোচন। অর্গাজমের মাধ্যমে নারী পুরুষ উভয়েই চরম যৌনসুখ পেয়ে থাকে। এটি গ্রীক শব্দ ὀργασμός থেকে আগত, যা “excitement, swelling” উত্তেজনা ও চরম উচ্ছ্বাসকে বুঝায়।

অর্গাজমের ফলে নারী পুরুষ উভয়েই মানসিক শান্তি সহ নানান সুবিধা পেয়ে থাকে। অনেকেই মনে করে অর্গাজম হচ্ছে মিলনের শেষ ধাপ ও এটি বিবাহিত জীবনে শাররীক ও মানসিক শান্তির জন্যে দারকারী।

একটি সফল অর্গাজম সাধারণত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় এবং স্বর্গীয় ভালো লাগা কাজ করে, এই ভালো লাগা বা সুখ আমরা সাধারণত দুনিয়াতে অন্য কিছুর মধ্যে দেখিনা।

অর্গাজম কাকে বলে

সহবাসের সময় আপনার যৌনাঙ্গে এবং আপনার সারা শরীর জুড়ে যে তীব্র আনন্দের অনুভূতি তাকেই অর্গাজম বলে।

আরো সহজ করে বলতে গেলে, অর্গাজম হলো সফল বীর্যপাত। মিলনের সময় দুজনের বীর্যপাতের ফলে শরীর যখন আকস্মিক ভারমুক্তি লাভ করে তাকেই অর্গাজম বলে।

অর্গাজম চলাকালীন, আপনার হৃৎপিণ্ড দৌড়াতে পারে, আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হতে পারে, আপনার রক্তচাপ বাড়তে পারে এবং সারা শরীরের পেশীতে খিঁচুনি হতে পারে।

অর্গাজম
অর্গাজম

অর্গাজমের প্রকারভেদ

অর্গাজম চলাকালীন অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয় এবং সহবাসের সময় ত্বকের সঙ্গে ত্বকের যোগাযোগ হয়ে থাকে, এতে দুজনে আবেগগত বন্ধনে নিজেদের মধ্যে মিশে যেতে সাহায্য করে।

অর্গাজম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অর্গাজম হতে পারে। এবং আমাদের শরীরে অনেক যৌন স্পর্শকাতর জায়গা আছে সেসব জায়গায় ও নানানভাবে রাগমোচন হতে সাহায্য করে। সে যাই হোক চলুন জেনে নেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত অর্গাজমের ধরন এবং সেগুলো কিভাবে হয়।

১। ক্লিটোরাল অর্গাজমঃ ভগাঙ্কুর একটি যৌন অঙ্গ যা যৌনির বাইরের দিকে একটি ছোট খাড়া টিস্যুর মতো দেখায়, এটি লক্ষ লক্ষ স্নায়ুর সমাপ্তি নিয়ে গঠিত, এবং কোন ধরনের স্পর্শে বা নাড়াছাড়া দেওয়ার মাধ্যমে এটি উদ্দীপিত হয়, এটির চারপাশের যৌন স্পর্শ করলে সেখানে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং অর্গজাম হয়ে থাকে।

২। Vaginal (যোনিতে) অর্গাজমঃ এই ধরনের অর্গাজম যোনির অভ্যন্তরে লিঙ্গের অনুপ্রবেশের ফলে হয়ে থাকে। যোনির অভ্যন্তরে একটি যায়গা আছে খুবই স্পর্শকাতর যেমন জি-স্পট, যা উচ্চতর সংবেদনশীলতার একটি ক্ষেত্র, Vaginal Orgasm মূলত এই জায়গা থেকে হয়ে থাকে।

৩।মিশ্র অর্গাজমঃ উপরের দুই ধরনের অর্গাজম যখন ঠিক এক সময়ে হয় তখন তাকে Blended Orgasms বা মিশ্র অর্গজাম বলা হয়ে থাকে। ক্লিটোরাল অর্গাজম ও ভাইজানাল অর্গাজম একসাথে হলে পুরো শরীলেই প্রচণ্ড ঝাকুনি ও প্রতিক্রিয়ার হয়।

৪। পায়ুপথে প্অর্গাজমঃ এই ধরনের অর্গাজম মূলত Anal Orgasm নামেই পরিচিত, এটি মলদ্বারের উদ্দীপনার মাধ্যমে অর্জিত হয়। পায়ুপথে অনেক স্নায়ু থাকার ফলে এনাল অর্গাজমের কারণে এই অভিজ্ঞতা আনন্দদায়ক হতে পারে।

৫। সার্ভিকাল অর্গাজমঃ সার্ভিক্সের উত্তেজনা ও উদ্দীপনার ফলে কিছু মহিলার ক্ষেত্রে পুরো শরীরের প্রচণ্ড উত্তেজনা হতে পারে।

৬। স্তনবৃন্ত অর্গাজমঃ কিছু মেয়েরা শুধুমাত্র স্তনবৃন্ত উদ্দীপনার মাধ্যমে অর্গাজমের অনুভূতি অনুভব করতে পারে, কারণ স্তনবৃন্তের সাথে মস্তিষ্কের ও যৌনাঙ্গের সংবেদনশীল স্থানের যোগাযোগ থাকে, যার কারণে স্তনবৃন্তে সঠিকভাবে স্পর্শ ও হালকা চাপের মাধ্যমে এই অর্গাজম হতে পারে।

৭। বীর্যপাতমূলক অর্গাজমঃ এটি খুব সাধারণ একটি অর্গাজম যাকে আমরা Ejaculation হিসাবে চিনি, এটি পুরুষদের বীর্যপাতের সময় হয়ে থাকে। এটি মহিলাদের মধ্যেও ঘটতে পারে, যেখানে এটিকে কখনও কখনও মহিলা বীর্যপাত বা Squirting হিসাবে উল্লেখ করা হয়। যার ফলে শরীল ভারমুক্ত হয় এবং প্রচণ্ড সুখের অনুভূতি হয়ে থাকে।

অর্গাজমের প্রকারভেদ
অর্গাজমের প্রকারভেদ

অর্গাজমের উপকারিতা

সফল অর্গাজমের ফলে শারীরিক, মানসিক নানান উপকারিতা রয়েছে। এখানে অর্গাজমে অনুভব করার কিছু মূল সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

  • চাপ মুক্ত করেঃ অর্গাজমের ফলে এন্ডোরফিন এবং অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ হয়ে থাকে, যা স্ট্রেস কমাতে এবং শরীর ও মনে শিথিলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ব্যথা কমাতে সাহায্য করেঃ অর্গাজমে ফলে নিঃসরিত এন্ডোরফিনগুলি প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসাবে কাজ করতে পারে, যা শরীর ম্যাজম্যাজ করা, মাথাব্যথা, তলপেটে মাসিকের ব্যাথা এবং অন্যান্য শারীরিক ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।
  • ঘুমাতে সাহায্য করেঃ যেকোন ধরনের অর্গাজমের ফলে শরীর চাপমুক্ত হলে হরমোনের পরিবর্তনগুলি ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। যাদের অনিদ্রা বা Insomnia আছে তাদের অনিদ্রা দূর করে থাকে।
  • মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ অর্গাজমের ফলে ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়ে, সুখ এবং সুস্থতার সাথে যুক্ত নিউরোট্রান্সমিটার পরিবর্তন ঘটে, যা মেজাজের উন্নতি করতে পারে এবং হতাশা এবং উদ্বেগ হ্রাস করতে পারে।
  • ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করেঃ নিয়মিত সহবাস এবং অর্গাজমের মাধ্যমে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে যা সম্ভাব্যভাবে শরীরকে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
  • হার্ট ভালো রাখেঃ নিয়মিত সহবাস ও অর্গাজমের ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, সহবাস এক ধরনের শারীরিক ব্যায়াম, যার ফলে হৃদস্পন্দন ও হৃদসঞ্চালন বাড়ে এবং হার্ট ভালো থাকে।
  • হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করেঃ অর্গাজম হরমোন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে, যা মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ এবং PMS (premenstrual syndrome) এর লক্ষণ হ্রাস সহ শরীরের উপর বিভিন্ন ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অর্গাজমের উপকারিতা
অর্গাজমের উপকারিতা

অর্গাজমের অপকারিতা

অর্গাজম সাধারণত শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তবে কিছু সম্ভাব্য অসুবিধা থাকতে পারেঃ

  • পোস্ট-অর্গাজমিক ইলনেস সিন্ড্রোম (POIS): একটি বিরল অবস্থা যা বীর্যপাতের পরে ফ্লুর মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে।
  • আবেগগত পরিণতিঃ কিছু ক্ষেত্রে, সহবাসের ও অর্গাজমের ফলে অপরাধবোধ, লজ্জা বা মানসিক যন্ত্রণার অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে জটিল সম্পর্কের ক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কারণে।
  • শারীরিক অস্বস্তিঃ কিছু লোক সহবাসের পরে অস্থায়ী অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করতে পারে, বিশেষ করে যদি তাদের কোন জটিল রোগ থেকে থাকে।
  • ক্লান্তিঃ অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকবার অর্গাজম হলে শারীরিক ক্লান্তি ও অবসাধের সৃষ্টি হতে পারে।

অর্গাজম না হওয়ার কারণ

অর্গাজম না হওয়া, বা অর্গাজমিক ডিসফাংশন, একটি সাধারণ যৌন সমস্যা যা নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। এর পেছনে বেশ কিছু শারীরিক ও মানসিক কারণ থাকতে পারে। শারীরিকভাবে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, যেমন এস্ট্রোজেন বা টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি, রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা, দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা, বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অর্গাজমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

মানসিকভাবে, চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা, সম্পর্কের সমস্যার প্রভাব, বা যৌন সম্পর্কের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব অর্গাজম না হওয়ার মূল কারণ হতে পারে।

এছাড়াও, যৌন সম্পর্কে পর্যাপ্ত পূর্ব প্রস্তুতি বা উত্তেজনার অভাব, যৌন শিক্ষার অভাব, এবং ভুল বা অসংগত প্রত্যাশাও এই সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রতিটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভিন্ন হওয়ায়, অর্গাজম না হওয়ার কারণও ব্যক্তি বিশেষে আলাদা হতে পারে।

অর্গাজম কি। বীর্যপাত ও অর্গাজম | অর্গাজম মানে কি | Dr. Shayla Haque

অর্গাজম না হলে করনীয়

অর্গাজম না হলে হতাশ বা চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রথমে নিজের মানসিক এবং শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বা সম্পর্কের সমস্যার কারণে অর্গাজম না হয়, তাহলে সেই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা উচিত।

মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে থেরাপিস্ট বা কাউন্সিলরের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। শারীরিকভাবে, পর্যাপ্ত ফোরপ্লে, পর্যাপ্ত লুব্রিকেশন এবং যৌন উত্তেজনার সময় বাড়ানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।

এছাড়া, নিজের শরীরের প্রতিক্রিয়া এবং যৌন উত্তেজনার প্যাটার্ন সম্পর্কে সচেতন হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। যৌন শিক্ষার উপর জ্ঞান বাড়ানো এবং সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করাও অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।

যদি এই সব প্রচেষ্টায় কাজ না হয়, তাহলে ডাক্তার বা যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তারা প্রয়োজন হলে শারীরিক পরীক্ষা বা থেরাপির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

অর্গাজম কেনই বা দরকার?

বিবাহিত জীবন সুখে শান্তিতে থাকতে, একটি মজবুত দাম্পত্য জীবনের জন্যে সহবাস ও অর্গাজম দুটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সহবাসের পর অর্গাজম না হলে মেজাজ খিটখিটে থাকে, গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা এগুলা খুব সাধারণ বিষয়, এবং বিবাহিত জীবনে নেমে আসে অশান্তি। নিয়মিত অর্গাজম দুজনের ঘনিষ্ঠতা আরও গভীর করে এবং বন্ধনকে শক্তিশালী করে। হার্ট ভালো রাখে, মেজাজ ভালো রাখা সহ আরো নানান উপকার করে থাকে।

মেয়েদেরও কি অর্গাজম হয়?

হ্যাঁ, মহিলাদের অর্গাজম হয়ে থাকে, অর্গাজমের সময় শরীর বাকানোসহ ও পেশী সংকোচন হয় এবং এতে তীব্র সুখের অনুভূতি হয়ে থাকে। মহিলাদের ক্ষেত্রে অর্গাজম নির্ভর করে তার শাররীক, মানসিক স্বাস্থ্যতের উপরে, এবং তাদের অর্গাজম ভগাঙ্কুর বা যোনির ধরনের উপর প্রভাবিত হতে পারে। কিছু মহিলাদের স্বল্প সময়ের মধ্যে একাধিকবার অর্গাজম হতে পারে।

ক্লিটোরাল স্টিমিউলেশন কি?

ক্লিটোরাল স্টিমিউলেশন হলো ক্লিটোরিসে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে স্পর্শ, ঘর্ষণ বা চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করা। ক্লিটোরিসে প্রচুর স্নায়ু থাকে, যা এটি যৌন উত্তেজনার জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল করে তোলে। অনেক মহিলার জন্য ক্লিটোরাল স্টিমিউলেশনই অর্গাজম অর্জনের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

কোন পজিশনে মিলিত হলে অর্গাজম সহজে আসে?

মিশনারি, কাওগার্ল এবং ডগি স্টাইল পজিশনগুলিতে অনেক মহিলার জন্য অর্গাজম সহজে আসে। এসব পজিশনে পেলভিক অঞ্চল এবং ক্লিটোরাল স্টিমিউলেশনের জন্য সঠিক কোণ তৈরি হয়, যা অর্গাজমকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক।

কিভাবে খুব কম সময়ে মেয়েদের অর্গাজম করানো যায়?

খুব কম সময়ে মেয়েদের অর্গাজম করানোর জন্য ফোরপ্লে গুরুত্বপূর্ণ। ক্লিটোরাল স্টিমিউলেশন, অনুভূতিশীল জায়গায় মনোযোগ, এবং সঠিক পজিশনিং মেয়েদের দ্রুত অর্গাজম অর্জনে সহায়তা করে। সঙ্গীর প্রতিক্রিয়া বোঝা এবং যৌন উত্তেজনা বাড়াতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করা প্রয়োজন।

এমন তথ্যবহুল লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন এখানেঃ ফেসবুক পেইজ

শেষ কথা

অর্গাজম প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে, এবং সবারই এই সুখের সুবাস পাওয়া উচিত। যাদের অর্গাজম হয়না তারা অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাহায্য নিতে পারেন।

বিবাহিত জীবনকে সুখের ও মধুর করে তুলতে দুজন দুজনকে বুঝতে হবে, কার কি ভালো লাগে তা জানতে হবে। যৌনিতে অর্গাজম ছাড়াও শুধু ক্লিটোরালকে আদর করেও একজন মহিলার অর্গাজম ঘটানো যায়।

তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের লেখা অর্গাজম কি? অর্গাজম কাকে বলে? উপকারিতা ও প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত। কারো কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে আমার কন্টাক্ট পেইজে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না।

About The Author

Leave a Comment